বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চীনের মধ্যকার সংঘাতের পর সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা প্রশমিত হলেও দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই দেশেরই বন্ধু হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, সেটা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে এশিয়ার এই দুই শক্তির যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান ভারসাম্যমূলক হওয়া-ই উচিত বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান জাগো নিউজকে বলেন, যদি কখনও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়া উচিত ভারসাম্যমূলক। অর্থাৎ বাংলাদেশ কারও পক্ষ নেবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ চীনে যেমন আছে, ভারতেও আছে। ফলে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতে হবে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আলোচনার জন্য চীন ও ভারতকে এক টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করেন ড. তারেক শামসুর রেহমান। তিনি বলেন, নব্বইয়ের শেষের দিকে ভারত ও পাকিস্তান যখন পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এবারও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।
‘ভারত ও চীন যুদ্ধে নামলে বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’ উল্লেখ করে এই বিশ্লেষক বলেন, যুদ্ধ যদি হয় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দক্ষিণ এশিয়া ক্ষতিগস্ত হবে। আমাদের সাপ্লাই লাইন বন্ধ হবে। আমাদের গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়বে।